Sunday, September 21, 2014

কিছু কথা বিজেপি কে ভালবেসে----



বন্ধু তিতাস এর প্রশ্ন 

বর্তমান এ রাজ্যের মানুষ বিরোধী দল বিজেপি কে দেখতে চায় ২০১৬ র্নিবাচনের আগে অব্ধি, তারপর শাষকের ভূমকায়। 
কিন্তু যেহেতু গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ শিক্ষার আলো থেকে এখনও দূরে, তাই তাদের কাছে যুক্তি টা কোনো বিষয় নয়।
এই রাজ্যে ক্ষমতায় আশার মূল চাবিকাঠি  গ্রামের মানুষের হাতে। 

সেই জন্য আমাদের মানে বিজেপি কে প্রতি বিষয়ে পথে নামতে হবে। এই রাজ্যে এটাই উপায়  ক্ষমতায় আশার। 
মুসলিম issue টা বর্তমানে কোনো বিষয় নয়। আসল হল পথে নামা। 
তাতে পুলিশি অত্যাচার, তৃণমূলী-দের  অত্যাচার এগুলো কিন্তু যত হবে তত বিজেপির হাত শক্ত হবে,
যেমন হয়েছিল তৃণমূল-এর ২০১১-র আগে। আপাত দৃষ্টিতে পথ অবরোধ, রাস্তাজুরে মিছিল এইসব মানুষে দুর্ভোগ হবে 
মনে হলেও এ গুলো একটা effect করবেই মানুষের মনে। হতে পারে এখনই গ্রামে মিছিল হলে খুব কম লোক হল।
TMC ব্যাঙ্গ করল, কিন্তু ক্রমাগত এই আন্দোলন চললে এক সময় ঠিক মানুষ সাড়া দেবে। 
যেখানে বিজেপি কে মারা হল,পরের দিন পাল্টা সেখানে মিছিল করল। পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীন রাজনীতির এগুলো অঙ্গ। 
ইতিহাস যাই বলে বলুক ২০১৬ তে প্রধান বিরোধী নয়,ক্ষমতায় আশাই আমআদের লক্ষ্য। 
শুধু দরকর আরোও বেশি করে পথে নেমে আন্দোলন। আমরা যত মার খাবো ,  
যত খারাপ কথা শুনবো তত কিন্তু আমরা focus এ আসবো মানুষের কাছে। শহর বিজেপি কেই পুরো সমর্থন করে,, 
খালি দরকার গ্রামে গ্রা্মে আন্দোলন গড়ে তোলা। যাতে তারা বুঝতে পারে বিজেপি তাদের পাশে। 
তারপর লোকসভা র্নিবাচনের পর বিজেপীর শহিদ একজন মুসলিম, বা মোদী সরকার আসার পর কোনো মুসলিম অত্যাচারে মারা গেছে বলে কেউ জানে না, বা দলে মুসলিম যোগদানের শতাংশ হিসেবে যে বেড়েছে, সেগুলো কে সামনে রেখে গ্রামে গ্রামে সভা করাটা জরূরী। 

যত অত্যাচর তৃণমূল বিজেপী-র  উপর এই আন্দোলনের ফলে যত অত্যাচার করবে তত আমাদেরই সুবিধা হবে। 
So called বিদ্দ্বজন- দের original image টা আমরা দেখেছি, তবু কিছু বিদ্দ্বজন এখনও কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ আছে,,
গ্রামে আন্দলন করতে গিয়ে বিজেপি অত্যাচারিত হলে এই বিদ্দ্বজন-রা যদি পথে নামে সেগুলো আর কিছু না হোক জনমানসে প্রভাব ফেলবে। যেমন হয়েছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের পরবর্তী সময়ে।  

তাই অত্যাচার হলে হবে এই মানসিকতা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। 
আন্দোলন এমন র্পযায় নিয়ে যেতে হবে,যাতে ২০১৬-তে গিয়ে তৃণমূল বিরোধীরা যাতে দ্বিতীয় বার না ভাবে বিরোধীদের মধ্যে কাকে ভোট দেওয়া উচিত। 

তাৎপর্য পূর্ন হল সকল সুস্হ মানুষ তৃণমূল-এর বিরূদ্ধে। শহরের লোকরা এখনও সেটা বলতে বা E.V.M - এ দেখাতে পারে, গ্রামের মানুষরা ভয়ে সেটা বলতে বা E.V.M - এ দেখাতে পারে না। তাই ওই গ্রামের মানুষদের ওখানে গিয়ে আন্দোলনের মাধমে পাশে থাকা টা জরূরী, যাতে তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগ না হয়ে একটা দিকেই যায়। আর যেহেতু তৃণমূল বিরোধী ভোট maximum, তাই এই তৃণমূল বিরোধী ভোট এক হলে ২০১৬-তে কে জিতবে সেটা পরিষ্কার। বিজেপি জিন্দাবাদ। জয় হিন্দ।



আমাদের উত্তর 

আপনার পরামর্শর জন্যে ধন্যবাদ ই এখন বসিরহাট, বিষ্ণুপুর, সোনারপুর, দিনহাটা,উখরা ,জামুরিয়া সব স্থানেই প্রচুর গ্রামের মানুষ আমাদের সঙ্গে আসেন এবং তার সংখ্যা বিরোধীদের থেকে বেশি বলেই তারা ভয়  পেয়েছেন I নিন্দুকেরা বলতে পারেন আমরা বসিরহাট এ তাকি আর বশিরহাট নগর নিগম এলাকায় বেশি ভোট পেয়েছি ই কিন্তু মনে রাখবেন সেখানে ত্রিনুমুলের পুর বোর্ড বর্তমান , সুতরাং তাদের অপদার্থতা মানুষ দেখেছেন বলেই পরিবর্তন চান .বাশিরহানিন্দুকেরা বলতে পারেন আমরা বসিরহাট এ তাকি আর বশিরহাট নগর নিগম এলাকায় বেশি ভোট পেয়েছি ই কিন্তু মনে রাখবেন সেখানে ত্রিনুমুলের পুর বোর্ড বর্তমান , সুতরাং তাদের অপদার্থতা মানুষ দেখেছেন বলেই পরিবর্তন চান .বাশিরহাতে I  গ্রাম অঞ্চলে লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রচুর গ্রামের ভোট পেয়েছি কিন্তু বিধানসভার উপনির্বাচনে শাসকদলের সতেরো মন্ত্রী এবং নেতা অকানকার প্রান্তীয় এলাকায় সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু আমরা সেই প্ররোচনায় পা দিই  নি ই
ধনিয়াখালির নাসিরুদ্দিন হত্যা মামলার সমস্ত সাখ্খি সবাই আমাদের দলে আর তারা মুসলমান ই আমরা ধর্ম দেখিনা কিন্তু দেশপ্রেম দেখি , যদি কেও ধর্মের আড়ালে সন্ত্রাস বাদীদের মদত দেন বা আমাদের নারীদের মিথ্যা প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ধর্ম পরিবর্তন বা অত্যাচার করেন তাহলে আমরা চুপ থাকতে পারি না ই দেশের মানুষকে সত্য দেখানো আমাদের কাজ , নিজেদের সেক্যুলার বলে কেও রাষ্ট্র্পদ্রোহী হতে পারেন ,

কিন্তু আমরা সত্যের পথে 

পত্র লেখার জন্যে ধন্যবাদ



No comments:

Post a Comment