Saturday, September 13, 2014

তৃনমূলের আইন প্রনেতা


কাল যারা একটি সর্ব ভারতীয় টেলিভিসিন চ্যানেল টাইমস নাও দেখেছেন তারা তৃনমূল সাংসদ শ্রী সৌগত রায় এর বক্তব্য শুনে থাকবেন .সি.বি আই এখন পর্যন্ত যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইমরান হাসান ,আসিফ খান ,বাপি করিম এবং প্রশান্ত প্রামানিক . ইমরান হাসান সাংসদ, আসিফ খান  তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় এর ঘনিষ্ঠ , বাপি করিম এবং প্রশান্ত প্রামানিক যথাক্রমে প্রাক্তন প্রধান আপ্ত সহায়ক এবং ঘিনিষ্ঠ কর্মী পরিবহন মন্ত্রী শ্রী মদন মিত্রর .সি বি আই এর জেরার মুখে নাজেহাল তৃনমূল এখন কাউকেই চিনতে পারছেন না . সৌগত রায়  বলেছেন রজত মজুমদার , মিঠুন চক্রবর্তী ,কে ডী সিংহ ইমরান হাসান কেউ তৃনমূলের সদস্য নন , তিনি অবশ্য আসিফ ,বাপি করিম এবং প্রশান্ত কে চিনতে পেরেছেন . অতএব  এতে প্রমানিত হই যারা কোনদিন ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হন নি তাদেরকে এই বরিষ্ঠ নেতা চিনতে পারলেন এবং যারা অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন এবং দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রনেতা তাদেরকে দলের সদস্য নন বলে শিকার করলেন. ভারতবর্ষ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র . এমন একটি দল যারা দলের সদস্য নন , তাদের আইন প্রনেতা হিসাবে সংসদে পাঠান শুধুমাত্র পুতুল করে বসিয়ে রাখার জন্যে এবং তাদের দ্বারা বে আইনি ভাবে রোজগারের টাকায় দলের অর্থ বাড়ানোর চেষ্টা করেন সি দলকে কি বাতিল করে দেওয়া এখ্খুনি উচিত নয়?

এর মধ্যে ইমরান হাসান ,আসিফ খান ,বাপি করিম কে লক্ষ্য করুন .তিনজনেই সংখ্যালঘু . বাপি করিম এর বিরুদ্ধে এক মহিলা ,দলের সদস্য মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন তাই তাকে দল থেকে তারা বের করে দিতে বাধ্য হন . আসিফ যত সময় কলকাতায় থাকেন তার বেশি থাকেন উত্তর প্রদেশে . এর জন্যেই তারা ওনাকে উত্তর প্রদেশে দোল বাড়ানোর দায়িত্ব দেন.যদিও উনি কিছুই করতে পারেন নি . উত্তর প্রদেশে উগ্র মুসলমান নেতা আজম খান অনার অত্যন্ত পরিচিত . আপনাদের এও মনে করিয়ে দি জেরার পরে এই আসিফ তৃনমূল নেতাদের নামে বিস্ফোরক মন্তব্য করে দল ছাড়েন এবং মুসালমান্পান্থী এক দোল তৈরী করেন. কিছুদিন আগে তথাকথিত বামপন্থী নেতা রেজ্জাক মোল্লা এই রকমই আরেকটি মুসল্মান্পন্থী দোল বানিয়েছেন . আসিফ এও ঘোষণা করেন যে তিনি রাজ্জাকের সঙ্গে কাজ করবেন . অতএব দুই দলত্যাগী ত্রিনমুলি আর বামপন্থী প্রমান করলেন "সেকুলার" তাদের মুখোশ আসলে তারা একটি বিশেষ ধর্মের পদলেহী .



এখন সারা ভারতেই তৃনমূলের রাজ্যসভা সদস্য ইমরান হাসান এর কথা আলোচনা হচ্ছে .ভারতবর্ষের সংবাদপত্রে অনেকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে তিনি  উগ্রপন্থী সিমি র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য . ইদানিংকালে বাংলাদেশ এর কাগজেও তাকে সেখানকার উগ্রপন্থীদের মদত যোগানোর কথা লেখা হয়েছে . ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কাগজে এও বলা হয়েছে ভারতবর্ষের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রমান আছে যে তিনি ২০১১-১২ সালে বাংলাদেশে একশ কোটি টাকা জঙ্গি সংগঠনকে দিয়েছেন . আজ দৈনিক statesman পত্রিকায় বলা হয়েছে.জামাত এর সঙ্গে বোঝাপড়া করেই মমতা ওনাকে সাংসদ বানিয়েছিলেন ,চুক্তি ছিল ২০১১ সালে নির্বাচনে তারা ত্র্নামুলকে সাহায্য করবে আর তাদের সাহায্য করা হবে অর্থ দিয়ে .এই কথা উদ্ধৃত করে বিবৃতি দিতেই কাল শ্রী হাসান থানায় অনার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন . সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এত বড় অবিযোগ আসার পরেও তৃনমূল কংগ্রেস কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি বা ওনাকে নির্দেশ দেননি যে অনুসন্ধান হওয়া পর্যন্ত উনি সরে দ্নারান . অতএব বোঝাই যাই তার কালকের  অভিযোগ সারদা তদন্ত  থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যে বা শ্রী সিংহ কে ভীতি প্রদর্শন করার জন্যে .

আজ আমাদের হাতে শ্রী হাসানের একটি ঘটনা হাতে আসে . সত্যতা সম্মন্ধে বিচার করার সময় আমরা এখনো পাইনি .আমরা সে চেষ্টা করছি . লোকমুখে এর প্রাথমিক সত্যতা আমরা পেয়েছি .ঘটনাটি আমরা তুলে দিলাম . আপনারাই বিচার করুন এনার আইন প্রনেতা হওয়া উচিত কিনা

২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দক্ষিন ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার নালিয়াখালিতে হিন্দুদের উপর আক্রমণ হয়! ঘটনার সূত্রপাত ২০ ফেব্রুয়ারি ভোরে নলিয়াখালিতে মৌলানা রহুল কুদ্দুস নামে এক নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়! কে খুন করে জানা যায়নি! কিন্তু এর ঘণ্টাখানেক পরেই এলাকায় মাইক বাজিয়ে অপ্রত্যাশিত ভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে কয়েকশো মুসলিম যুবক। এই প্রচারের মূল উদ্যোক্তা ছিল জীবনতলা থানা এলাকার তিন বাসিন্দা। এরা ইমরানের অনুগামী! সরকারি তদন্তকারী অফিসার রিপোর্টে লিখেছেন, “...এঁদের কারও কারও সঙ্গে পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা, সিমি-র (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জনৈক আহমেদ হাসান ইমরানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ...ওই ব্যক্তি এখন এসআইও-র (স্টুডেন্টস ইসলামিক অর্গানাইজেশন) সদস্য। জানা গিয়েছে, এই ইমরান পার্ক সার্কাস থেকে বিপুল সংখ্যক মুসলিম যুবককে বোমা এবং অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র-সহ নলিয়াখালিতে পাঠানোর ব্যাপারে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই যুবকরা সেখানে বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়, লুঠপাট চালায়।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই দিন সকাল থেকে দুপুর থেকে পর্যন্ত নলিয়াখালিতে প্রায় ৩০০ বাড়ি ভাঙচুর করে বা আগুন লাগিয়ে লুঠপাট করা হয়েছিল। এবং শুধু পার্ক সার্কাস নয়। কলকাতার রাজাবাজার-মেটিয়াবুরুজ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট-বাসন্তী এলাকা থেকেও বহু সশস্ত্র যুবককে সে দিন নলিয়াখালিতে পাঠিয়েছিলেন ইমরান।
গোয়েন্দা পুলিশ খবর পেয়েছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে কয়েক জন সংখ্যালঘু নেতার সঙ্গে বৈঠক করে কী ভাবে সংঘর্ষ সংগঠিত করেছেন, তা বিস্তারিত জানান ইমরান। ভবিষ্যতে ওই এলাকায় কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করা হবে, সেই বিষয়ে পরিকল্পনার কথাও অন্য নেতাদের জানান তিনি।
গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে অনেক তথ্য মিলেছে। তদন্তে নেমে ইমরানের চারটি মোবাইল নম্বরের হদিস পান গোয়েন্দারা। ওই চারটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইমরান ওই দিন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু ওই দিনের সংঘর্ষ সংগঠিত করাই নয়, ইমরান বিপুল পরিমাণ বিদেশি অর্থ নিয়ে এসে এ রাজ্যে মৌলবাদের প্রচারে কাজে লাগান। রাজ্যের বহু প্রত্যন্ত এলাকায় সংঘর্ষ সংগঠিত করার কাজেও এই অর্থ খরচ করা হয়



1 comment:

  1. Unprecedented.
    What is Mamata Banerjee's compulsion for compromising with anti-India terrorists ?
    Is it ONLY appeasement or much more than it ???

    She HAS to answer .

    ReplyDelete