আমরা ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী উল্লেখ করে অষ্টম শ্রেনীর পুস্তকে নতুন ইতিহাস সংযোজিত হতে দেখেছি আবার পুস্তকমেলায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং শেক্সপীয়ার ,কিটস এর আত্মিক সম্বন্ধের নতুন ইতিহাসের আভাস পেয়েছি l এর মধ্যে শ্রী জয়দীপ চৌধুরী আমাদের কাছে পাঠ্যপুস্তকের নতুন ইতহাসের কল্পনা করে রচনা পাঠিয়েছেন l আশা করি পাঠকরা আনন্দ পাবেন
ব্রিটিশ অধীনস্ত ভারত তখন।।
চারিদিকে ব্রিটিশ দের অত্যাচারে জর্জরিত গোটা দেশ।
বিদ্রোহ ঘোষনা করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াইএ নেমেছে সিধু-কানহু-ডহর। ওদিকে অহিংসাবাদী গান্ধী আমরণ
অনশনে বসেছে। এমতাবস্থায় গান্ধীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা দেবী নবান্নে ডেকে পাঠালেন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে জরুরী মিটিং এর জন্য। মিটিং এ তিনি রবি ঠাকুরকে অনুরোধ করলেন গান্ধীকে যে করেই
হোক বুঝিয়ে শুনিয়ে অনশন ভঙ্গ করাতে। কথামতন রবী ঠাকুর হাজির হলেন গান্ধীর অনশন মঞ্চে। দীর্ঘ আলোচনার
পর তিনি গান্ধীকে রাজী করালেন এবং তারপর নিজের হাতে তাকে মুসাম্বী, বেদানা, আপেলের রস খাওয়ালেন।
ওদিকে ক্রমশ: বেড়ে চলেছে ইংরেজদের অত্যাচার। সিধু-কানহু শহীদ হয়েছে, ডহর পলাতক।চিন্তিত মমতা দেবী এক গোপন বৈঠক
ডাকলেন ডেলো পাহাড়ের ওপর এক গুপ্তস্থানে। বৈঠকে হাজির রবি ঠাকুর, তেনজিং নোরগে সহ আরো কিছুমমতা দেবীর কাছের লোক।
সেই মিটিং এ মমতার বুদ্ধিতে রবি ঠাকুরের নেতৃত্বে তিন জনের একটা কমিটি গঠন হলো। কমিটিতে রবি ঠাকুর ছাড়াও
ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কুনাল ঘোষ এবং ইন্ডো-ইংল্যান্ড বিসনেস ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যানতথা বিশিষ্ট শিল্পপতি সুদীপ্ত সেন মহাশয়।
ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক কুনাল ঘোষ এবং ইন্ডো-ইংল্যান্ড বিসনেস ফাউন্ডেশনের চেয়্যারম্যানতথা বিশিষ্ট শিল্পপতি সুদীপ্ত সেন মহাশয়।
সিদ্ধান্ত হলো ওই কমিটি ইংল্যান্ডে যাবে, এবং রানী ভিক্টোরিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে ভারতীয় দের ওপর ইংরেজদের অত্যাচারের
ঘটনা টা তুলে ধরে একটা স্মারকলিপি জমা দেবে।
ঘটনা টা তুলে ধরে একটা স্মারকলিপি জমা দেবে।
এর তিনদিন পরই কোলকাতা বিমানবন্দর(আধুনা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস ইন্টারন্যাশানাল এয়ারপোর্ট)
থেকে "সারদা এয়ারলাইন্স" এর বিমানে তিন সদস্যের ওই কমিটি রওনা দিলো লন্ডনের
উদ্দ্যেশ্যে। খারাপ আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কঠোর বাধা টপকে পাইলট রাকেশ রোশন তার
অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যথাসময়ে বিমান পৌছে দিলো লন্ডনে।
সেখানে পৌছে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী বাকিংহাম প্যালেসে তারা রানী ভিক্টোরিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে ওনার কাছে সমগ্র
ঘটনা তুলে ধরলো,এবং স্মারকলিপি জমা করে বেড়িয়ে আসলো।
ঠিক এই সময়েই রবি ঠাকুরের সাথে দেখা হয়ে গেলো আর এক বিশিষ্ট লেখক এবং বন্ধু কিট্স এর সাথে।
পুরানো বন্ধুর সাথে বহু বছর পরে সেই সাক্ষাতে আপ্লুত কিটস রবি ঠাকুর এবং বাকি দুই সদস্যকে জোর
করে নিয়ে গেলেন তার বাড়ীতে। সেখানে আর এক কান্ড । কিছু ব্যাক্তিগত দরকারে কিটস কে বারবার
মোবাইলে ফোন করে না পেয়ে অগত্যা তার বাড়ীতেই হাজির হয়েছেন প্রবীন লেখকশ্রী শেক্সপীয়ার মহাশয়।
পুরানো বন্ধুর সাথে বহু বছর পরে সেই সাক্ষাতে আপ্লুত কিটস রবি ঠাকুর এবং বাকি দুই সদস্যকে জোর
করে নিয়ে গেলেন তার বাড়ীতে। সেখানে আর এক কান্ড । কিছু ব্যাক্তিগত দরকারে কিটস কে বারবার
মোবাইলে ফোন করে না পেয়ে অগত্যা তার বাড়ীতেই হাজির হয়েছেন প্রবীন লেখকশ্রী শেক্সপীয়ার মহাশয়।
কিটস ওনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো তার অভিন্নহ্রদয় বন্ধু রবি ঠাকুরের। এরপর বসলো চায়ের আসর। সমসাময়িক
(তৎকালীন) লেখা থেকে শুরু করে Dan Brown, Chetan Bhagat এর লেখা,শ্যামাসঙ্গীত,
পল্লীগীতি থেকে Emniem, Pitbull, Yo Yo Honey Singh কে নিয়ে চর্চা, কি ছিলোনা সেই আড্ডাতে। আড্ডার
ফাঁকেই কিটস এবং শেক্সপীয়র এর "মুখোমুখি সাক্ষাৎকার" নিয়ে নিলেন কুনাল ঘোষ। কিটস আর শেক্সপীয়র এর
অপ্রকাশিত কিছু গান এবং কবিতার সংগ্রহ নিয়ে CD প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সুদীপ্ত সেন মহাশয়। বিষয়
টা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবনা-চিন্তা করার কথা বলে সুদীপ্ত সেন কে ধন্যবাদ জানালেন দুজনেই।
(তৎকালীন) লেখা থেকে শুরু করে Dan Brown, Chetan Bhagat এর লেখা,শ্যামাসঙ্গীত,
পল্লীগীতি থেকে Emniem, Pitbull, Yo Yo Honey Singh কে নিয়ে চর্চা, কি ছিলোনা সেই আড্ডাতে। আড্ডার
ফাঁকেই কিটস এবং শেক্সপীয়র এর "মুখোমুখি সাক্ষাৎকার" নিয়ে নিলেন কুনাল ঘোষ। কিটস আর শেক্সপীয়র এর
অপ্রকাশিত কিছু গান এবং কবিতার সংগ্রহ নিয়ে CD প্রকাশের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন সুদীপ্ত সেন মহাশয়। বিষয়
টা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবনা-চিন্তা করার কথা বলে সুদীপ্ত সেন কে ধন্যবাদ জানালেন দুজনেই।
এবারে দেশে ফেরার পালা। কিন্তু রবি ঠাকুর রয়ে গেলেন লন্ডনেই.. নো- বেল পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে যোগ
দেওয়ার জন্য। দেশে ফিরেই কুনাল আর সুদীপ্ত মমতার সাথে সাক্ষাৎ করলেন, এবং বাকিংহাম প্যালেসে রানী ভিক্টোরিয়ার
সাথে আলোচনার ঘটনা টা তুলে ধরলেন। রানী'র উদাসীনতার কথা শুনে মমতা ক্রোধিত হয়ে ইংরেজ দের বিরুদ্ধে এক বৃহত্তর
আন্দোলনের ডাক দিলেন। সেই ডাকে সারা দিয়ে এগিয়ে এলো সমাজের নানা স্তরের বুদ্ধিজীবি,
মদন -মুকুল-টুম্পাই- দোলা'র মতন সমাজসেবী আর আরাবুল-মনিরুল-কেষ্টা'র মতন দামাল ছেলেরা। একযোগে তারা বিদ্রোহ
ঘোষনা করলো ইংরেজ দের বিরুদ্ধে । মমতার নেতৃত্বে প্রবল এই বিদ্রোহে কোনঠাসা হয়ে ইংরেজরা আশ্রয়
নিলো চন্দননগরে। সেই সময় চন্দননগরে বিপ্লবের মুখ তাপস পাল। বিশ্বস্তসূত্র মারফত চন্দননগরে ইংরেজদের
সেই গোপন ডেরার খবর পেয়ে তাপস পাল তার ছেলেদের নিয়ে হাজির হলো সেই ডেরাতে। তাপস পাল তার
ছেলেদের ইংরেজদের সেই ডেরাতে ঢুকিয়ে ওদের মা-বোন দের "রেপ" করিয়ে দিলো...গুলি করে মেরে দিলো অনেক ইংরেজ
দের, হাসুয়া দিয়ে মাথা কেটে নিলো।।
ঘোষনা করলো ইংরেজ দের বিরুদ্ধে । মমতার নেতৃত্বে প্রবল এই বিদ্রোহে কোনঠাসা হয়ে ইংরেজরা আশ্রয়
নিলো চন্দননগরে। সেই সময় চন্দননগরে বিপ্লবের মুখ তাপস পাল। বিশ্বস্তসূত্র মারফত চন্দননগরে ইংরেজদের
সেই গোপন ডেরার খবর পেয়ে তাপস পাল তার ছেলেদের নিয়ে হাজির হলো সেই ডেরাতে। তাপস পাল তার
ছেলেদের ইংরেজদের সেই ডেরাতে ঢুকিয়ে ওদের মা-বোন দের "রেপ" করিয়ে দিলো...গুলি করে মেরে দিলো অনেক ইংরেজ
দের, হাসুয়া দিয়ে মাথা কেটে নিলো।।
অত:পর রাগে, দু:খে,
অভিমানে ইংরেজরা ভারত
ছেড়ে চলে গেলো।।।
ভারতের স্বাধীনতার
ইতিহাসে মমতা দেবীর নাম
স্বর্ণাক্ষরে নামাঙ্কিত হয়ে থাকলো।।
বি:দ্র: জনতার দাবিতে এই হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক এই দলিল মা মাটি মানুষ প্রকাশনীর স্টল, কলকাতা পুস্তক মেলাতে পাওয়া যাচ্ছে, আজি নিয়ে আসুন
Excellent article.
ReplyDeleteVery good article sir
ReplyDelete