কিন্তু দুখ্খের বিষয় এই যে শিখ্খা ব্যবস্থার অবনমনের ফলে তাদের বাঙালি রীতি আর প্রথার জ্ঞান বিলুপ্তপ্রায়l
কিছু কথা তাদের জন্যে .....
“বিসর্জন দশমী” বা শুধু “দশমী” শব্দটি ব্যাবহার না করে কেন “বিজয়া দশমী” বলা হয়? ...... দু একটি কথা...।।
বন্ধুরা...। আজ শুভ বিজয়া দশমী...।। এতক্ষন নিশ্চয়ই সকলেই নিজেদের প্রিয়জনের সঙ্গে কুশল বিনিময় সুসম্পন্ন করেছেন...।।
আচ্ছা...। আপনাদের কখনও কি একবারও মনে হয়েছে... দশমী কথাটির সঙ্গে “ বিজয়া ” শব্দটি কেন উচ্চারিত হয়? চার দিনের আরাধনার শেষে আজ তো প্রতিমা নিরঞ্জনের/বিসর্জনের দিন......।। তাহলে তো “বিসর্জন দশমী” বা শুধু “দশমী” শব্দটি ব্যাবহার করাই তো অধিক যুক্তি সঙ্গত ছিল...। তাই না?
ছোটরা বড়দের প্রনাম করে আশীর্বাদ নিয়েছে...।।
সমবয়সীরা নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন...।।
সবাই মিষ্টিমুখ করেছেন...।।
সধবা মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতেছেন......।।
বিসর্জনের আগে অনেকেই নেচেছেন ......।।
সমবয়সীরা নিজেদের মধ্যে কোলাকুলি করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন...।।
সবাই মিষ্টিমুখ করেছেন...।।
সধবা মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতেছেন......।।
বিসর্জনের আগে অনেকেই নেচেছেন ......।।
এই “ বিজয়া ” শব্দটি এসেছে... ‘বিজয়’ থেকে...।।
প্রকৃতপক্ষে পুরাকালে আমাদের দেশীয় রাজন্যবর্গ দেবী দুর্গার আরাধনা করতেন শত্রুর বিরুদ্ধে বিজয়লাভের উদ্দেশ্যে। দেবী দুর্গার পূজা শেষ করে এই দিনটিতে পররাজ্য জয় করার উদ্দেশ্যে তারা বীর বিক্রমে ধাবমান হতেন...।। তাই এই দিনটির অপর একটি নাম “সীমানা উল্লঙ্ঘন দিবস”
এমনকি রামচন্দ্রও রাবণকে পরাস্থ করার জন্য শরৎকালে দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন... যার রুপ আজকের এই সার্বজনীন দুর্গাপূজায় রূপান্তরিত হয়েছে।
কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দেবীর পুজার সময় বসন্তকাল...... রামচন্দ্র অকালে তার বোধন করেছিলেন...... তাই এই পুজাকে “অকাল বোধন”ও বলে...।।
কিন্তু প্রকৃত পক্ষে দেবীর পুজার সময় বসন্তকাল...... রামচন্দ্র অকালে তার বোধন করেছিলেন...... তাই এই পুজাকে “অকাল বোধন”ও বলে...।।
তো যাই হোক......... সেই সময় কিন্তু জলের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জনের এই রীতি ছিল না...।
যুদ্ধে রাজা তো আর একা যেতেন না...।। তার সঙ্গে চলত এক বিরাট সৈন্যবাহিনী ... অনেক লোক লস্কর... ইত্যাদি।
তারা যুদ্ধে যাবেন ...... কিন্তু সেখানে তাদের প্রান সংশয়য়ের আশঙ্কা সর্বদা...... তাদের মধ্যে কয়জন জীবিত ফিরতে পারবেন...... কেউ জানে না...।।
তাই...... যুদ্ধে যাবার আগে...। দেবীর আরধনা করে শক্তি অর্জন ও আশীর্বাদ পাথেয় করে তারা প্রস্তুত হলে...
আর এই জীবনে কখনও দেখা হবে কিনা...? এই ভেবে.........
তারা বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রনাম করে আশীর্বাদ নিতেন ......
শিশুরা তাদের প্রনাম করতো...।।
সবাই শেষ বারের জন্য একত্রে কোলাকুলি করে জয়ের শপথ নিতেন...।।
শিশুরা তাদের প্রনাম করতো...।।
সবাই শেষ বারের জন্য একত্রে কোলাকুলি করে জয়ের শপথ নিতেন...।।
আর কখনও তাদের খাওয়ানো যাবে কিনা...? এই ভেবে.........
পরিবারের লোকেরা মূলত মহিলারা তাদের মিষ্টি মুখ করাতেন...।।
পরিবারের লোকেরা মূলত মহিলারা তাদের মিষ্টি মুখ করাতেন...।।
তাঁদের সিঁথির সিঁদুর যেন অক্ষয় থাকে...... সেই উদ্দেশ্যে পরিবারের বিবাহিত স্ত্রীরা দেবীর পায়ে সিঁদুর দিয়ে তা নিজেদের সিঁথিতে ধারন করতেন...।।
এই বিষয়টিই আজ মহিলাদের সিঁদুর খেলায় রূপান্তরিত হয়েছে ......।। লক্ষ করলে বুঝতে পারা যায়... এই কারনেই আজো এই অনুষ্ঠানে বিধবা বা কুমারী মেয়েদের অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই......।।
আর বাকি থাকে উল্লাস পর্ব......
যোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করার জন্য রনভেরীর সঙ্গে সমবেত উল্লাস ...... যা আজো দশমীর নাচ বলেই পরিচিত এবং ছেলে – মেয়ে - বুড়ো নির্বিশেষে সবাই এতে অংশগ্রহন করে...।।
যোদ্ধাদের উদ্দীপ্ত করার জন্য রনভেরীর সঙ্গে সমবেত উল্লাস ...... যা আজো দশমীর নাচ বলেই পরিচিত এবং ছেলে – মেয়ে - বুড়ো নির্বিশেষে সবাই এতে অংশগ্রহন করে...।।
এই বিষয়টি আজো খেলার মাঠে যখন খেলোয়াড়ের দল নামে... তাঁদের উৎসাহ দেবার চিত্রটির সঙ্গে তুলনীয়......
নতুবা...।। দেবীকে বিসর্জন দেবার মধ্যে বিষাদ লুকিয়ে থাকে... আনন্দ থাকে না। আর বিষাদে কে আর নাচতে পারে ?
আজ সে রাজাও নেই আর নেই সেই রাজ্য জয়ের উন্মাদনাও ......
আর “বিজয়া দশমীর” শব্দটির তাৎপর্যও লোকচক্ষুর অন্তরালে অন্তর্হিত হয়েছে...।।
আর “বিজয়া দশমীর” শব্দটির তাৎপর্যও লোকচক্ষুর অন্তরালে অন্তর্হিত হয়েছে...।।
ওম হ্রিং দুর্গা দেব্যাঐ নমঃ ...... আবার এসো মা............।।
শুভ “বিজয়া দশমী”......................... ..।
শুভ “বিজয়া দশমী”.........................
কিন্তু আমাদের হৃদয় এ দুঃখের রেশ ,মা চলে গেছেন l শরতের বিদায়ের এই শুরু, বঙ্গের যুদ্ধ সবে শুরু l
কাশফুলের বিদায় আর মায়ের বিদায় সমার্থক l ইঁট কাঠের ভিড়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য বিদায় নিচ্ছে l এই পরিবেশ রখ্খা করার উদ্যোগ কারুর নেই l
প্রমটাররাজ ধংশ করছে পরিবেশ,ভরাচ্ছে জমি মাফিয়াদের ক্ষুধা l আমাদের লড়াই সবে শুরু l
লড়াই শুরু তাদের বিরুদ্ধে বাম এবং তৃনমূলের যারা গরিব মানুষের কষ্টার্জিত পয়সা চুরি করে এখন আরামের জীবন জাপান করছেন , যারা গরিব
মানুষের পয়সা দিয়ে বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের মদত করেছেন ,সেই দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে l
আমরা আশা করি আমাদের আসল বিজয় হবে শীঘ্র এবং গরিবের তাদের দুঃশ্ক্রিতিদের আইনের ঘেরাটোপের মধে ,জেলের ভেতরে দেখবেন l
শুভ সেই বিজয়ের স্বপ্ন
No comments:
Post a Comment