Sunday, October 26, 2014

বিভেদ নয়,ভিক্ষা নয়

একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে কেন নির্লজ্জের মত একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষন করা হবে?? আজকাল সমস্ত রাজনৈতিক দল, 
দূর্বুদ্ধিজীবি থেকে শুরু করে সমাজের এক বড় অংশের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ
প্রমান করতে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে নির্লজ্জের মতো তোষন করা।

এটাকে কী ধর্ম নিরপেক্ষতা বলা হয়?? রাজ্যের শাসক দল সেই তোষন নীতি করে এরাজ্যের 6 কোটি 30 লক্ষ
হিন্দু জনগনের ভবিষ্যত অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে।

প্রথমে আসি ইমাম ভাতা ব্যবস্থায়,ভোট ব্যাঙ্কের রাজনিতীকে তুষ্ট রাখার জন্য ইমাম দের
ভাতা দেওয়া হলেও রাজ্যের অভুক্ত ভূমিহীন গরীব পূজারী ব্রাহ্মনদেরভাতা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। 
এই বাংলায় কী কেবল মুসলিম ইমামরাই গরীব?? কেবল তাদেরই সরকারী সাহায্যের প্রয়োজন??



আর হিন্দুরা বড়লোক?? যদি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এটাই ভেবে থাকেন তাহলে নিশ্চিত সিংহাশনে বসার পর
থেকে উনি মানুষের খবর রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন। মুখ্য মন্ত্রীর উচিৎ একবার গ্রামীনবাংলার অবস্থাটা দেখে আসার। 
ওনারস্বচক্ষে দেখে আসা উচিৎ গ্রামের গরীব ব্রাহ্মনরা কী ভাবে অতি দারিদ্রতার সাথে দিন কাটাচ্ছে, এমনকী ওদের
ইনকামের শেষ রাস্তা টোল শিক্ষা ব্যবস্থাটার দিকেও আপনার সরকার নজর দেওয়ার প্রয়োজন বোধকরেনি। 
টোল কেবল ব্রাহ্মন সম্প্রদায়ের উপার্জন ক্ষেত্রই নয় টোল শিক্ষা একটি শুষ্ঠ সমাজ গঠনেরও ভূমিকা রাখে।
 যে সাংস্কৃতিক শিক্ষা ধর্মনিরপেক্ষ স্কুল দিতে পারেনা সেই শিক্ষা টোল দিতে সক্ষম। আর যাই হোক টোল
শিক্ষা ব্যবস্থায় নজর দিলে যেমন সংস্কৃত ভাষাকে বাঁচান যেত সেই রকম কতক গুলি অভুক্ত পরিবারতো বাঁচত। 

এরপর আসি সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রিদের বৃত্তি প্রদানে। 
একটি স্কুলে ইউনিফর্ম পড়া বাধ্যতামূলক কারন, যাতে ঐ স্কুলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের মধ্যে ধনী গরীব
পার্থক্য না দেখতে পায় অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে যাতে বিভেদ সৃষ্টি না হয়। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ সরকার
কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদানকে ঘিরে হিন্দু মুসলমান বিভেদের আগুনে ঘি ঢালতে পারে??


কেবল মুসলিম ছাত্র ছাত্রীরাই কী গরীব আর হিন্দু ছাত্র ছাত্রীরা ধনী??

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, একবার স্কুল গুলি ঘুরে দেখে আসুন লক্ষ লক্ষ হিন্দুপরিবারের ছেলেরা কীভাবে টাকার
অভাবে পড়াশুনা ছেড়েদিতে বাধ্য হচ্ছে। যানি ওদের জন্য চিন্তা করার সময় আপনার নেই। একবার কলেজ
গুলোতে রাজনীতি করা বন্ধকরে ওখানে পাঠরত হিন্দু পরুয়াদের হৃদয়ের জ্বালার
কথা শুনে আসুন । 

দেখে আসুন কত হিন্দু পরিবারের ছেলে কেবল মাত্র অর্থাভাবের জন্য কলেজে মাঝপথে পড়া ছারতে বাধ্য হয়ে 
ভিনরাজ্যে পারী দিচ্ছে রোজগারেরআশায়। 

কারন আপনার সরকারের ভ্রান্ত শিল্পনীতির কারনে আজ বাংলার যুবকরা কর্মহীনতায় ভুগছে।
আপনি হয়তো বলবেন "আমরা বেকার ভাতা দিচ্ছি"। কিন্তু বেকার ভাতাতে কী যুব সমাজের উন্নতী সম্ভব??
এই বেকার ভাতা নামককৌশলী চালটা কী আসলে যুবসমাজের মনের ক্ষো বা সুপ্ত আগুনকে ঢাকা দেওয়ার অপপ্রচেষ্টা নয়??

মাত্র2500/-টাকায় কী একটা যুবক তার পরিবারের অভাব দূর করতে পারবে?? যে সময়ে একটা যুবকের বিবাহ
করে সংসার করার কথা সেই সময়ে একটা বেকার যুবক মানসীক অবসাদে ভুক্তভূগী হয়ে আত্মহত্যার পথ
বেছে নিচ্ছে। এটা কী একটা জেনারেশনের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলে খেলা করা নয়?? 
বাংলার 16লক্ষ বেকার যুবক বিশিষ্ঠ যুব সমাজতো এটাই বুঝতে পারছে না যে আপনার সরকারআসলে কী চায়!! 
আপনার সরকার নির্লজ্জের মত সংখ্যালঘু তোষন করছে অথচ হিন্দুদের প্রতি নজর দিচ্ছে না।

যুবসমাজকে নিয়ে ছেলে খেলা করছে আপনার সরকার। যে পরিমান অর্থ আপনার সরকার সংখ্যালঘু তোষনে খরচ করছে 
সেই পরিমান অর্থ যদি যুব সমাজের উন্নতি কল্পে খরচা করতেন তাহলে কিছু যুবক কাজ পেতকিছু অভুক্ত পরিবারের পেটে অন্ন জুটত।

সব থেকে মজার বিষয় হল সংখ্যালঘু তোষন করেও মুসলিম সমাজকে ধ্বংশের পথে ঠেলে দিচ্ছে আপনার সরকার।
যদি কেউ একটা দুষ্কৃতি দুঃকর্ম করছে,তো কেবল সংখ্যালঘু হওয়ার কারনে সে পার পেয়ে যাচ্ছে 
এরফলে পুরো মুসলিম সমাজকে দুঃকর্ম করতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আপনি হয়ত যানেন
দুষ্কর্ম একটি সমাজকে ধ্বংশের পথে ঠেলে দেয়। আপনার দলীয় কর্মিদেরএই তোষন নীতির ফলে ওরা দুষ্কর্ম করেও
পার পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ওদের সমাজ। 

পার্ক স্ট্রিট ,কামদুনি থেকে শুরু করে বিগত পরশুর নিন্দনীয় গণধর্ষণের ঘটনাগুলি এই মুসলমান জাতিকে কলঙ্কিত অপরাধীদের আড়াল করার বা প্রশ্রয় দিয়ার জ্বলন্ত উদাহরণ l শুধু তাই নয় ২০১২ সালে যখন মেটিয়াবুরুজে বম্ব ব্লাস্ট হয়েছিল তখন আপনি NIA  ডেকে তদন্ত করলে আজকের ভয়াবহ রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের জাল দেখতে হত না l আপনি যদি মুন্নার মত অপরাধীকে প্রশ্রয় না দিতেন তাহলে SI তাপস চৌধুরী জীবিত থাকতেন l আজ তাপস নেই কিন্তু মুন্না এবং তার সাথীরা মেটিয়াবুরুজ এবং সংলগ্ন মহেশতলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে l আপনার এবং দলের প্রশ্রয়ের ফলেই বর্ধমান ব্লাস্টের মূল চক্রী মহেশতলার দুলাল দাসের বাড়ির পাশে মল্লারগেত থেকে তাদের কর্ম কান্ড চালিয়ে গেছে 




আর মনিরুল বা আরাবুল এর কথা বাদ দেয়াই ভালো ,প্রকাশ্যে হুমকি গুন্ডামি এমনকি আপনার দলের লোকেদেরই ওপর যাদের হত্যা করার অভিযোগ যাদের ওপর তারা আপনদের আশির্বাদে নিত্যনতুন কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে l গতকালই ভাঙ্গরে দুজন নিহত হয়েছে কিন্তু আপনার পুলিশ অরাবুলের বিরোধী গোষ্ঠির নেতাকে গেপ্তার করেছেন,যিনি ঘটনাচক্রে হিন্দুও l এই দুর্বিত্তদের আশ্রয় তে জনগণ আশ্বস্ত হচ্ছেনা ,ভিত হচ্ছে l 

আপনার তোষন নীতির ফলে এরাজ্যে জিহাদী গোষ্ঠিরা নিরাপদে ঠাঁই পাচ্ছে। আমাদের জমির দখল নিচ্ছে জিহাদী অনুপ্রবেশকারীরা।
হিন্দু সমাজ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।জিহাদীরা সীমান্ত পেরিয়ে এরাজ্যে এসে এখানকার
সংখ্যালঘুদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ছরাচ্ছে আর হিন্দুদের উপর আঘাত করছে এতে আপনারকোন ভ্রূক্ষেপ নেই। 



কারন আপনার সরকার মনে করে হিন্দুরা বানের জলে ভেষে এসেছে, হিন্দু মরলে দোষনেই। এবার বিধান
সভা নির্বাচনে এআইএমআইএম প্রার্থি দেবে। শুনছি ওরা আপনাকেই সমর্থন করবে।

আজকের দৈনিক statesman এ জসিমুদ্দিন লিখেছেন সিদিকুল্লাকে বর্ধমানে পুলিশ মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিলেন কিন্তু তারা বিনা অনুমতিতে কার্জন গেট আটকে সভা করে l লেখাতে এও বলা হয়েছে আপনাদের স্থানীয় তৃনমূল নেতা ওই সভাতে ভিড় জোটানোর দায়িত্বে ছিলেন এবং আপনারা আরো মুসলিম সংগঠনকেও ভবিষ্যতে আমন্ত্রণ জানাবেন l আপনি নিশ্চই জানেন ওই সভায় অভিযুক্ত দুই মহিলা আতঙ্ক বাদীর জন্যে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে l ওই সভায় মাদ্রাসাতে পুলিশ তদন্ত করতে ঢুকলে বাধা দেবার আহ্ভান জানানো ও হয়েছে যা রাষ্ট্রবিরোধী l 

 রাজ্য 157 সিটের ভাগ্য মুসলিম অধ্যুষিত যদি এআইএমআইএম গোটা 90/100 টা আসন পেয়ে যায়তাহলে ওরা মুখ্যমন্ত্রী পদে আপনাকে নয়,
কোন মুসলিম মুখ দেখতে চাইবে আর তখনই সেই বঙ্গ বিভাজনের পুনরাবৃত্তি হবে। 

মনে রাখবেন এটি তাদের বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের ঘোষিত নীতি l 

কারন মুসলিম মুখ্যমন্ত্রী এমন সব তালিবানীয় নীতি নেবে যে গুলো সংখ্যা গুরু বঙ্গবাশিদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভবহবে না। 

আপনি ও আপনার সরকার রাতদিন বিজেপিকে বঙ্গ বিভাজন কারী বলছেন অথচ জনসংঘ প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদই যে পশ্চিম
বঙ্গের রূপকার সেকথা আপনি হয়ত ভুলে গ্যাছেন। আর বিজেপির মত যদি আপনারা বাংলার ভবিষ্যত
নিয়ে চিন্তিত থাকতেন তাহলে হয়ত আজ রাজ্যে জিহাদী বিচ্ছিন্নতাবাদী রা আস্তানা গোড়তে পারতনা।বঙ্গসন্তানরা এই তোষনবাজ রাজনৈতিক
নেতা নেত্রীদের ভ্রান্ত তোষন নীতির ফলে আগত বিপদ থেকে স্বর্তক হয়ে যাও।

মনে রেখ সেবার শ্যামাপ্রসাদ ছিল এখন কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ নেই। যে হিন্দুদের স্বার্থে দেশের স্বার্থে বাংলার
স্বার্থে কথা বলবে তাকেই এরা সাম্প্রদায়িক বানিয়ে দেবে। ওদের কথায় কান দিলে নিজেরা বিপদ
ডেকে আনবে। যে তৃণমূলের তোষন নীতির ফলে বাংলা আজ বিভাজনেরপথে এগুচ্ছে তারা ধর্মনিরপেক্ষ??
তারা বাংলার ঐক্য সৃষ্টিকারী??
 আর

যে বিজেপি হিন্দুদের বার বার স্বর্তক
করছে যে বিজেপি এই তোষন রাজনীতির
অবসান চাইছে সেই
বিজেপি সাম্প্রদায়িক??
বিজেপি বিভাজন কারী?? 

বঙ্গসন্তান মনেরেখ এই
বাংলা থেকে তোষনবাজের রাজনীতির
অবসান ঘটাতে পারে এক মাত্র বিজেপি।


1 comment:

  1. Congress instituted the Business of Secularism & Appeasement and played well for decades. Congress's mutated offshoot -Trinamool Congress has taken the Business of Appeasement to the level of Treason and Betrayal of India.
    Anti-National crooks.

    ReplyDelete