এই আসঙ্কাটা আমরা আগে থেকেই প্রকাশ করেছি। আমরা যখন এই বিষয়ে প্রচার করতাম তখন
সেকুলারিজমের ঠিকাদাররা আমাদের সাম্প্রদায়িক বলত। কিন্তু কেন্দ্রিয়গোয়েন্দা সংস্থা আজ
এব্যাপারে নিশ্চিত করে দেওয়ার পর সেকুলারিজমের ঠিকাদাররা চুপ।
হ্যাঁ বর্ধমানের খাগরাগরে অবৈধ মাদ্রাসায় জিহাদি প্রশিক্ষন শিবির হয়েছিল আসলে বৃহত্তর বাংলাদেশ
গঠনের ছক কষেই। বাংলাদেশী জামাত এ ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। 1757 সালের
সিরাজদ্দৌল্লার রাজত্ব সীমাকেই বৃহত্তর বাংলাদেশ হিসাবে গন্য করেছে জিহাদিরা।
গোয়েন্দা মতে আইএসআই মদতে জামাত ছাড়াও বাংলাদেশি জঙ্গী সংগঠন জামাত উল মুজাহিদ্দিন, মায়ানমারের
রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আরাচান মিলিট্যাণ্ট অর্গানাইজেশনের সংগঠন গুলির মাধ্যমে রচিত হয়েছে বৃহত্তর
বাংলাদেশ গঠনের ব্লুপ্রিণ্ট। এই কাজে যুক্ত হয়েছে অসমের মুসলিম
ইউনাইটেড লিবারেশন টাইগার্স (মুলটা), মুসলিম ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রণ্ট (মুলফা), মুসলিম ভলেণ্টিয়ার্স
ফোর্স এবং এইউএফ এর মত জঙ্গী সংগঠন গুলি। বৃহত্তর বাংলাদেশের মানচিত্রে পশ্চিম বঙ্গ, আসাম,
ত্রিপূরা, মেঘালয় কেও রেখেছে জঙ্গীরা।
ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য গুলিতে মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে জনসংখ্যার তারতম্য ঘটিয়ে মুসলিম সংখ্যা বৃদ্ধি কোরে এই
রাজ্য গুলিকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনই জঙ্গীদের আশু লক্ষ্য।
এই লক্ষ্যে পশ্চিম বঙ্গের নদীয়া, চব্বিশ পর্গনা, মুর্শিদাবাদ,মালদাহ, জেলার সীমান্তবর্তী 2200 কিমি এলাকা,
অসমের করীমগঞ্জ,ধূবরি, কাছার,বরপেটা,হাইলাকান্দি, ত্রিপূরার উত্তর ও পশ্চিম জেলা, মেঘালয়ের পশ্চিম
জয়ন্তিয়া হিল্স,পশ্চিম গারো হিল্স,এবং দক্ষিন পশ্চিম খাসি হিল্স এলাকায় ঢালাও অনুপ্রবেশ চলছে।
এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গুলির সহায়তায় ওরা অবাধে পরিচয় পত্র পেয়ে যাচ্ছে এবং মুসলিম ভোট
ব্যাঙ্কের স্বার্থে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি ওদের জন্য বাসস্থানের সুব্যবস্থাও করে দিচ্ছে।
মনে রাখবেন শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ এবং মালদাতে আটান্ন টি জঙ্গি প্রশিখ্ক্ষণ কেন্দ্রের হদিস পাওয়া গেছে , তার মধ্যে ৪৫ টি শুধুই মুর্শিদাবাদে .
মুর্শিদাবাদে হিন্দু সংখ্যালঘু অতএব তারা এ সমস্ত জায়গা বেছে নেয় যেখানে তাদের সংখ্যা বেশি l সেখান থেকে তারা বিস্তৃত হয় অন্য জায়গায় সংখ্যা বিস্তার করার জন্যে l মুর্শিদাবাদ এ অধীর চৌধুরী এই রাজনীতি করেই তার প্রাধান্য কায়েম রেখেছেন l
বাঙলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা এত দিন ধরে
নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ থেকে জন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কি করে রাশন কার্ড, আধার কার্ড বানিয়ে ভারতিয়তার প্রামান্য অর্জন করেছে ?
এই অধীর চৌধুরী র মত নেতারা দেশদ্রোহী এবং আমাদের উত্খাত করে বাংলাদেশীদের দিয়ে নিজের পার্লামেন্টে যাবার রাস্তা বানান l ইটা ভাবেন না ওই বাংলাদেশীরা একদিন ওনাকেই উত্খাত করবেন l
গতকাল সরবেরিয়ার বাংলাদেশী দুষ্কৃতি শাহজাহান শেখ ধীরাজ ঘোষকে উত্খাত করেছে বাড়ি থেকে l
আমাদের ভবিষত সুরখ্ষিত করতে হবে না?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুত্রে 2011 সালে এরাজ্যে বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধৃতর সংখ্যা ছিল 577 জন সেই সংখ্যাটা 2013 তে হয়েছে 2815 জন।
গোয়েন্দামতে ধরা না পরা অনুপ্রবেশ কারীর সংখ্যাটা এর পাঁচ গুন বেশি। বর্ধমানে জঙ্গী মডিউলের
প্রেরনা যেমন ছিল আল কায়দা তেমনই ছিল বাংলাদেশের তালিবান সমর্থক নেতা মুফতি ফজলুল হক। ফজলুল হকের
বক্তৃতার ছাপান অংশ গোয়েন্দা এজেন্সিরা ঐ অবৈধ মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করেছে।
ফজলুল হক বৃহত্তর বাংলাদেশ ভাবনার কট্টর সমর্থক। গোয়েন্দারা জানিয়েছে ঐ বাংলাদেশী কট্টর
মৌলবাদী নেতা জিহাদের মাধ্যমে কলকাতা ও ঢাকা কে জুরে দেওয়ার কথা বার বারবলেছেন।
এই লেখাটি পড়লে বুঝতে পারবেন খতরনক আল কায়দা গোষ্ঠির তত্তাবধানে এই জঙ্গি শিবির চলছিল l তাদের লক্ষ্যই ছিল প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ আর ধীরে ধীরে সমস্ত ভারত কে ইসলামিক দেশে পরিনত করা l কংগ্রেস সিপিএম তৃনমূলের মত দলগুলি তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে সাহায্য করছিল মাত্র l
এই বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের জন্য পাক গুপ্তচর 2004 সাল থেকে সক্রিয়। জিহাদীদের এই অপারেশনের পোশাকি নাম
"অপারেশন পিন কোড"।
বিভিন্ন ইসলামিক ব্যাঙ্ক থেকে এদের অর্থ সাহায্য আসে। তবে সারদার টাকা এদের হাতে গেছিল
কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করছে গোয়েন্দারা। কিন্তু অবাক কাণ্ড গোয়েন্দারা যখন এত
কিছু আশঙ্কার কথা জানাচ্ছেন তখন ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল গুলি এই ভয়াবহ বিষয় নিয়ে পুরোপুরি চুপ।
ওরা এখন সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িক করে বিজেপিকে আক্রমন করে নিজেদের দুঃকর্ম ঢাকারঅপপ্রচেষ্টা করছে আর
এখনো ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষামদ করছে। এদের এই কাজ সত্যিই দেশদ্রহীতার সামিল।
এদের কাছে মাতৃ ভূমি ও স্বজাতীর থেকেও ভোট ব্যাঙ্ক বড়ো। হিন্দু ভাইরা যদি পূর্ব বঙ্গের হিন্দুদের
মত বা ইহুদিদের মত দেশ ছারতে না চাও তাহলে এই সব ধর্মনিরপেক্ষতার নামধারী ভারত
বিরধী ও হিন্দু বিরধী রাজনৈতিক দল গুলিকে শিঘ্রই পরিত্যাগ করো।
প্রথমে নিজের মাতৃভূমি তথা নিজের ভিটে কী ভাবে বাঁচবে চিন্তা করো তার পর ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাববে। আর
মনে রেখো তোমাদের স্বার্থে তথা হিন্দু স্বার্থে তথা ভারতের স্বার্থে যে আওয়াজ তুলবে তাকেই এই
ধর্মনিরপেক্ষতার নামধারী হিন্দু বিদ্বেষীরা সাম্প্রদায়িক বানিয়ে দেবে। ওদের কথায় কান দিও না।
রাজ্যে যে কমিউনিষ্টরা রাজনৈতিক জমি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে রাত দিন
বিজেপিকে গালি দিচ্ছে সেই কমিউনিষ্টরা এই বিষয়ে কেন তাদের অবস্থান স্পষ্ট করছে না??
এরাজ্যে যে শাশকদলের প্রতি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেই শাসকদল কেন এ
বিষয়ে তাদের অভিমত স্পষ্ট করছেনা?? বিজেপি দেশের হিতার্থে কথা বলে তাই সাম্প্রদায়িক,
আর যারা ধর্ম নিরপেক্ষতারনামে অনুপ্রবেশকারী দের আরাল
করতে চাইছে তারা অসাম্প্রদায়িক???