#TMCSyndicateRaj সিন্ডিকেট
রাজত্ব না জঙ্গলের রাজত্ব?
১) যারা
নির্মান ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত আছেন
তাদের কাছে সিন্ডিকেট শব্দটি
একটি নোংরা এবং অপশব্দতে
পরিনত হয়েছে l সিন্ডিকেট অর্থ হলো রাজনৈতিক
ক্ষমতার ফলে নির্মানকর্মীদের ভয়
প্রদান করে কম দামের
জিনিস বেশি দামে কিনতে
বাধ্য করা l কারা এই
সিন্ডিকেট কর্মী ? সিন্ডিকেট কর্মী সেই সমস্ত
বেকার ছেলেরা যাদের চাকরি
পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে
,যাদের চাকরি পাওয়ার আশা
এখন দুরাশাতে পরিনত হয়েছে কারণ
রাজ্যে শিল্পের মানচিত্র হয়ে গেছে একটা
অন্ধকার পটকথা যার না
আছে বর্তমান ,না আছে ভবিষ্যত
l সিন্ডিকেট কর্মী সেই সমস্ত
বেকার ছেলেরা যাদের প্রতিটি
বাংলার নির্বাচনে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি
দেওয়া হয় কিন্তু পরে
কর্মপ্রাপ্তি হয় না l সিন্ডিকেট
এর মালিক কারা? মালিক
তারা যারা ওই অঞ্চলের
কুখ্যাত দুষ্কৃতি ,রাজনীতির শিখরে ওঠার জন্যে
তৃনমুলি ও হার্মাদ রাজনেতারা
যাদের সাহায্য পেতে উদগ্রীব নির্বাচনী
বৈতরণী পার করার জন্যে
l
২)যেহেতু সিন্ডিকেট এর
রাজনৈতিক সংরক্ষণ প্রাপ্ত সেই হেতু পুলিশের
তাদের ওপর কোনো ন্যাযিক
শাস্তি প্রদানেও অনীহা l ফেব্রুয়ারী মাসের ৮ তারিখে
হাই কোর্টের মহামান্য বিচারপতি একপ্রকার বাধ্য হয়েই মন্তব্য
করেন," পুলিশকে বলুন এ হেন
সিন্ডিকেট এর ওপর কড়া
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে,সিন্ডিকেট
এর দৌরাত্ব এতটাই বেড়েছে যে
এখন হাই কোর্ট পর্যন্ত
এর শিকার হচ্ছে, সল্ট
লেক আসানসোলে এ কোর্টের নির্মান কে সিন্ডিকেট বাধা
দিচ্ছে l "
৩) সম্প্রতি আসানসোলে সিন্ডিকেট এর গুন্ডারা ১১
কোটি টাকা ব্যয়ের কোর্ট
কমপ্লেক্স নির্মান বন্ধ করে ছিল
,তাদের কাছ থেকে নির্মান
সামগ্রী কেনার আদেশ দিয়ে
৪)মমতাদেবির পুলিশরা এখন সিন্ডিকেট এর মালিকদের "স্যার"
বলে সম্মোধন করেন, পুলিশ জানেন
এই দুষ্কৃতিদের পরিচয় ও অনেক
উঁচু রাজনৈতিক যোগাযোগ আছে এবং সেই
রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শাসক দলের l
৫) সিন্ডিকেট ব্যবসায়ের মাথাকে পুলিশ ইচ্ছে
করে গ্রেফতার করে না ,পুলিশের
কাছে তাদের ওপর সুনির্দিষ্ট
হাজার অভিযোগ থাকলেও
৬) নারদ থেকে সারদা
প্রতিটি আসনে তৃনমুলি অসাধু অন্যায় অর্থ ব্যবহারের
আশংকা তো আগে ছিলই,এবার স্টিং অপারেশন এ বিধান নগর রাজারহাট পৌরমণ্ডল এর প্রধান এবং
মমতাদেবি ও মুকুল রায় এর স্নেহধন্য সব্যসাচী দত্ত আসল কথাটি বলে ফেললেন l তিনি বললেন
যে তিনি নির্বাচনে কোনো টাকাই খরচ করেন না l ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয় এবং পুরোটাই
দেয় সিন্ডিকেট এর মালিক ও তার স্নেহধন্য দুষ্কৃতিরা l
৭)কসবা তে মনোজ
সাউ হত্যা, বাঁসদ্রনি তে বাবলু ঘোষ ইত্যাদি তো ঘটেই চলছিল ,এ বছরেই ফেব্রুয়ারী মাসের
২৫ তারিখে ঘটে গেল VIP রোড এর ওপর এ এক তৃনমুলি গুন্ডা এবং #TMCSyndicateRaj এর খেলোআর
সঞ্জয় রায় এর হত্যা l রাজনৈতিক মহলে সবাই জানে তিনি মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর অত্যন্ত
প্রিয় পাত্র l এই হত্যার অভিযুক্ত দীপঙ্কর ওরফে গ্যাস বাবু এক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি
করেছেন আদালতে l সঞ্জয় নাকি বিগত ৪ বছরে সিন্ডিকেট থেকে ১৯০ কোটি টাকা রোজগার করেছেন
l হিংসা, অপহরণ, তোলাবাজি, হত্যা সব রয়েছে সিন্ডিকেট এর পিছনে যার ফলভোগ এতদিন সাধারণ
মানুষ করেছে আর এখন শুরু হয়েছে অন্তর্দ্বন্দ l
৮) নির্বাচনের সময় এই সিন্ডিকেট
এর গুন্ডাদের ব্যবহার করা হয় ভোটের
দের ভয় দেখানো ,বুথ
জ্যাম ..বলার অপেক্ষা রাখে
না এদের ব্যবহার করে
কারা l রাজারহাটে এরা সব্যসাচীর লোক
, VIP রোড এ পূর্ণেন্দু বসু
, হাওড়া তে অরূপ রায়
এবং মহেশতালাতে দুলাল দাস/কস্তুরী
দাস l বঙ্গে নির্বাচন প্রহসন
বানানোর পিছনে সিন্ডিকেট আর
তার আশ্রয়দাতারা
৯) নির্বাচন এ তৃনমূল এর
পিছনে এই চার স্তম্ভ
কাজ করে : ঘুষ,তোলাবাজি
,সিন্ডিকেট আর অতি অবশ্যই
চিট ফান্ড
১০) সিন্ডিকেট কলকাতা এবং শহরতলিতে
ক্যান্সার এর মত বিস্তার
করেছে হাওড়া থেকে হাবরা
, রাজারহাট থেকে মহেশতলা আর
EM Bye Pass থেকে সোনারপুর
বারুইপুর জোকা বেহালা সব
জায়গায় বিস্তৃত l প্রতিটি জায়গায় এই সিন্ডিকেট
এর পিছনে জড়িত আছে এলাকার প্রতাপশালী তৃনমুলি নেতারা কেউ বা মন্ত্রী কেউ বা বিধায়ক
১১) আর এই বড়
নামে কে নেই ?! অরূপ
রায় থেকে অরূপ বিশ্বাস
,কাকলি ঘোষ দোস্তিদার থেকে
সব্যসাচী দত্ত আর পূর্ণেন্দু
বসু শোভনদেব ..এরা সবাই তৃনমূল
নেত্রীর অত্যন্ত প্রিয় পাত্র l আর
যদি মহেশতলা দেখা যায় যার
জন্যে রাজ্য সরকার কে
হাই কোর্টের ভর্ত্সনা প্রাপ্ত হয়েছে সেখানে সাংসদ
তো মমতার ভাইপো
নিজে l সুতরাং সিন্ডিকেট এর
যোগাযোগ যে কালিঘাট পর্যন্ত
তার কোনো সংশয় আছে
কি ?
১২) কোনো সন্দেহ নেই
সিন্ডিকেট এর ওপর দ্নারিয়ে
আছে তৃনমুলি সরকার যার বিদায়
আসন্ন ,এতদিন শুধু জনগণ
বলেছে হাই কোর্ট বলেছে
,রাজ্য সরকার ধিক্কার জানিয়েছে
আর তৃনমুলি মঞ্চ থেকে নেত্রী
হুঙ্কার দিয়েছেন কিন্তু সব্যসাচী দত্ত
স্বীকার করে প্রমান করে
দিলেন তার দলের নেতারা
আকন্ঠ এই পাঁকে নিমজ্জিত
No comments:
Post a Comment