Friday, April 15, 2016

ধন্য "মমতাময়ী" পুলিশমন্ত্রী



পুলিশ কর্মীদের ওপর আক্রমন

হিন্দিতে বলা হয় "উল্টা চোর কোতবলকো ডাঁটে",বাংলায় বলা যায় "নিজে এদিকে চোর ,গাল দেয় পুলিশকে"
এটাই বাংলার বাস্তব সত্য

)রাজনৈতিক হিংসার সামনে বাংলার পুলিশের মেরুদন্ড বিকিয়ে গেছে কারণ আক্রমনকারী গুন্ডারা তৃনমূল আশ্রিত

)বিগত দিনের আলিপুর থেকে আলিপুরদুয়ার অথবা সিঙ্গুর থেকে শিলিগুড়ি পুলিশের ওপর আক্রমন এর প্রমান,তৃনমূল কর্মীরা এবং তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা আঞ্চলিক তৃনমূল নেতাদের সাহায্যে বাংলার পুলিশকে এই জায়গায় নামিয়ে এনেছে

)প্রত্যেকটি সপ্তাহে পুলিশকর্মী আক্রান্ত হয়েছে, পুলিশ নির্দয়ভাবে প্রহৃত হয়েছে এবং পুলিশ থানা ভাঙচুর করা হয়েছে ,পুলিশ নিশ্চুপ থেকেছে কারণ দুষ্কৃতিরা তৃনমুলি

8) কিছুদিন আগেই মালদার কাছে কালিয়াচক সাক্ষী থেকেছে কি ভাবে ৩০০০০ মুসলিম দুষ্কৃতি থানা ভেঙ্গেছে ,আগুন জালিয়ে দিয়ে পিশাচ নৃত্য নেচেছে কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী মমতার অধীনে থাকা পুলিশ হাত গুটিয়ে থেকেছে যা তাদের দক্ষতার ওপর প্রশ্নচিহ্ন ওঠায়



) রাজ্যের বাসিন্দাদের পুলিশের ওপর সম্পূর্ণ অনাস্থা জন্মেছে, এই প্রশ্ন ওঠা কি স্বাভাবিক নয় যে পুলিশ তৃনমুলি গুন্ডাদের দায়ে বেঁচে থাকে, রাজ্যের মানুষ সেই পুলিশের ভরসায় বাঁচবে কি করে?

) বেশিদিন আগের কথা নয় ,আপনারা দেখেছেন ২০১৫ সালের কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচনে ওই তৃনমুলি গুন্ডারা কি করে মত্দাতাদের ভয় দেখিয়ে, বুথ জ্যাম করে সমস্ত নির্বাচনকেই প্রহসনে পরিনত করেছিল l ৩৪ বছর ধরে "হার্মাদ" CPM যা করে গেছে "পরিবর্তনের" তৃনমুলিরা তাই অক্ষরে অক্ষরে  শিক্ষা নিয়ে পালন করেছেন l

) আমরা এতেও অভ্যস্ত হয়ে গেছি, যে তৃনমুলি গুন্ডাদের ওপর কোনো FIR গ্রহণ করবে না মমতাদেবির পুলিশ ,অথচ ভারতীয জনতা পার্টির কর্মীদের ভুল কেসে ফাঁসানো এবং হেনস্থার স্বীকার বানানো হয় কখনো বিনা ঘটনায় কখনো বা প্রকৃত "সাজানো" ঘটনায়
কিছু ঘটনার নিচে বর্ণনা করা হলো,প্রকৃত ঘটনা এত বেশি সব বর্ণনা সম্ভব নয় : এই হলো মমতার বাংলা এবং মমতার পুলিশ
তারিখ
স্থান
ঘটনা
১৫..২০১৬
গঙ্গারামপুর,দক্ষিন দিনাজপুর
দুজন পুলিশকর্মীকে অসহনীয় এবং অভদ্র ভাবে গালাগালি করে আর প্রহৃত করে তৃনমূলের কর্মী এবং গুন্ডা বাহিনী, কারণ?
অনিয়ন্ত্রিত অন্যায়ভাবে তৃনমূল বাহিনী মোটর সাইকেল দাঁড় করিয়েছিলেন একদম রাস্তার মধ্যিখানে এর ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ায় পুলিশ মোটর সাইকেল গুলি সরিয়ে দেন ...আর সম্মানীয় ত্রিনমুলি দুস্কৃতিদের আত্মসম্মানে ঘা লাগে
১৫..২০১৬
মাযুরেশ্বর,বীরভুম
অন্যায় ভাবে বালুকা খনন এবং সরবরাহ শিল্প একটি বড় শিল্প সমগ্র বীরভুমএ ,এই বালি সমগ্র বঙ্গে পাচার হয় #TMCSyndicateRaj এর খেলারদের কাছে : বুঝতে অসুবিধা হয় না খনন থেকে বিক্রয় এর মধু সরবরাহ হয় সমস্ত তৃনমুলি সর্বোচ্চ স্থানে l এমন একটি বালুকার লরি একটি শিশুকে চাপা দেয়, পুলিশ ধরার বদলে উত্কোচ এর মাধ্যমে ছেড়ে দিতে প্রবৃত্ত হলে ,সাধারণ মানুষ পুলিশ স্টেশন ভাঙচুর করে, পুলিশ এর রক্ষাকর্তারা পলায়ন করতে বাধ্য হন
..২০১৬
কালিয়াচক,মালদা
এতদিনে আমরা সবাই জানি, কালিয়াচক মমতার #এগিয়েবাংলা প্রকল্পের সর্ববৃহৎ সাফল্য l বিগত বছরে কালিয়াচক এখন ভারতীয় জাল নোটের কারবারের কেন্দ্র, কালিয়াচক আফিম উত্পাদনেও দেশে প্রথম স্থানে আছে ... হেন কালিয়াচাকে রীতিমত পূর্বঘোষিত ভাবে ৩০০০০ মুসলিম চোরাকারবারীরা জমায়েত হয় এবং হিন্দু দের ওপর আক্রমন করে দোকান জালিয়ে দেয় ,পুলিশ দর্শক হিসাবে দাঁড়িয়ে দেখে l কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই দুস্কৃতিরা কালিয়াচক থানা ভস্মীভূত করে দেয়,শুধু তাই নয় আফিম জাল নোটের কারবারীদের পুলিশ রেকর্ড জালিয়ে দেয় l ধন্য মুসলিম তোষণ ,ধন্য মমতার পুলিশ
১৯..২০১৫
সিউরী ,বীরভুম
একজন খুনের দায়ে অভিযুক্ত তৃনমুলি দুষ্কৃতি থানায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তার সহকর্মীরা থানায় চড়াও হন ,থানা ভাঙচুর করে  খুনি কে নিয়ে চম্পট দেন তারা l স্বাভাবিক ভাবেই দুস্কৃতিরা অক্সিজেনশুন্য এবং "কেষ্ট" স্নেহধন্য l ধন্য মমতা আর তার পুলিশ ..আপনাদের মায়া অপরম্পার
১৭..২০১৫
কানকরতলা, বীরভুম
শ্রীমান খিলাফত আলী কে পুরানো বোমা শিল্প হত্যার মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ ,মমতার  "তোষিত" সম্প্রদায়ের মানুষ আক্রমন করে ঘন্টার মধ্যেই ..পরিকল্পনামত মহিলাসমেত ওই বিশাল দুষ্কৃতিদের টোলা পুলিশ কর্মচারীদের প্রহৃত করে , থানা প্রধান আবু আলী কে মেরে প্রশাসনের প্রিয় খিলাফত কে নিয়ে পলায়ন করে..স্থানীয়দের ধারণা গ্রেফতার থেকে আবু আলীর পিটাই ..একটি পূর্বপরিকল্পিত এবং "সাজানো" ঘটনা
..২০১৫
চাঁপদানি ,হুঘলি
পুলিশ একটি মত সাইকেল এতক করে যার কোনো বৈধ কাগজ ছিল না l গাড়িটি স্থানীয় তৃনমূল পর্ষদ সরমান বিক্রম গুপ্তার এক অবৈধ বন্ধুর l শ্রীমান বিক্রম  প্রবল বিক্রমে উপস্থিত হন ৪০০ দুষ্কৃতি নিয়ে ,ভদ্রেশ্বর থানা ভাঙচুর করে ,পুলিশের গাড়ি জালায় আর জন পুলিশকর্মীকে গুরুতর ভাবে আহত করে l এই বিক্রম থেকে ভদ্রেশ্বর থানা প্রমুখ বাদ যান না ...ধন্য গুন্ডা রাজ পুলিশ যেখানে কেচো
.১২.২০১৪
ডানকুনি টোল প্লাজা
বর্ধমান জেলা পরিষদের বামফ্রন্ট থেকে আগত তৃনমুলি নেতা মন্ডলবাবু  কলকাতা থেকে বর্ধমান ফিরছিলেন ,টোল প্লাজা দুঃসাহসিক কর্মী তার কাছে টোল চান, ব্যাস আর যায় কথায় নেতা এবং তার সঙ্গীরা মারধর শুরু করেন কর্মীকে , মন্ডলবাবু নিজের পায়ের জুতো খুলে পর্যন্ত মেরে ছিলেন তাকে ..ভুল করবেন না এটাকে উত্তর প্রদেশ বলে ..কলকাতাতেই ডানকুনির ঘটনা
২৬.১১.২০১৪
শিলিগুড়ি
হঠাত ইঁটবর্ষণ শুরু করেন তৃনমুলি সমাজসেবকরা,দুটি পুলিশের গাড়ি ভেঙ্গে দেন তারা ,জালিয়ে দেন সাব ইন্সপেক্টর এর গাড়ি, জন পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হলেও সমাজসেবকদের নামে কোনো ফির হয় নি
১৪.১১.২০১৪
আলিপুর ,কলকাতা
মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রীর বাসভবনের সন্নিকটে এই দিনের ঘটনা কলকাতা পুলিশের ইতিহাসে এক স্বর্ণজ্জল দিন ,স্থানীয় একটি সরকারি জমিতে কব্জা করে রেখেছিলেন এক তৃনমুলি নেতা সাগরেদরা l সে জমিম খালি করার আদেশ আসে ,পুলিশ সে কাজ করলে ৪০০ সজ্জন হাজির হন আলিপুর থানায় l ঘন্টা দুএক তান্ডব চলে ভাঙচুর এবং পুলিশ কর্মীদের ওপর অত্যাচার চলে কিন্তু লালবাজার থেকে কোনো বাহিনী আসে না l পুলিশ কর্মীরা টেবিল এর তলায় কোনো রকমে প্রাণ বাচান l নেতার ওপর কোনো শাসন হয় না ..তিনি নাকি পালিয়ে গিয়েছিলেন,কিন্তু কিছুদিন পরেই পুলিশ মন্ত্রীর সঙ্গে তাকে কারাবাস প্রদক্ষিণে দেখা যায় ...পুলিশদের কোনো সম্মান আছে কি ?
সেপ্টেম্বর,২০১৪
বোলপুর
থানার মধ্যে ঢুকে পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর কে মারধর করেন স্থানীয় তৃনমূল নেতা , যদিও FIR হয়েছিল কিন্তু পুলিশ কোর্টে জিজ্ঞাসা করতে নিতে চায় নি ..নেতা এখন স্বাধীন
ফেব্রুয়ারী,২০১৩
গার্ডেনরিচ ,কলকাতা
হরিমোহন ঘোষ কলেজএ ছাত্র নির্বাচন কে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার হয় , স্থানীয় মুসলিম নেতা মুন্না গুলি তে মারা যান সাব ইন্সপেক্টর তাপস চৌধুরী ..মুন্না শোনা যায় পালিয়ে গিয়েছিলেন l ভিনরাজ্য থেকে তাকে গ্রেফতারের নাটক হয় ..তারপর মুক্তি পেয়ে যান ,২০১৬ নির্বাচনে তিনি তৃনমূলকে পার লাগাবেন এই ভরসায় আছেন পুলিশ মন্ত্রী শ্রীমতি মমতা


No comments:

Post a Comment